করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে। আজও সেখানে ১ হাজার ৮১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই অবস্থার মধ্যেও লকডাউন তুলে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু শিগগিরই লকডাউন তুলে নিলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনা ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছিলেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. অ্যান্থনি ফুসি। তার এ সতর্কতা মানতে নারাজ ট্রাম্প বলেছেন, ফুসির হুশিয়ারি গ্রহণযোগ্য নয়। বুধবার হোয়াইট হাউসে এ কথা বলেন ট্রাম্প। খবর বিবিসির।
বিশ্বব্যাপী হানা দেওয়া করোনা ভাইরাসে এক যুক্তরাষ্ট্রেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮৪ হাজার মানুষ। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৪ লাখ। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত হচ্ছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। তারপরও করোনার বিস্তার রোধে নেওয়া লকডাউন ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার পক্ষে দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার লক্ষ্য লকডাউনের কারণে ভেঙে পড়া দেশের অর্থনীতি পুনরায় সচল করে দেওয়া। এর নেপথ্যে রয়েছে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিষয়টিকে ইস্যু করে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের বৈতরণী পার হওয়া।
তবে লকডাউন তোলার ক্ষেত্রে ফেডারেল গাইডলাইন মানা না হলে ভাইরাসটির প্রকোপ ফের বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন হোয়াইট হাউসের গঠিত করোনা মোকাবেলা টাস্কফোর্সের অন্যতম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. অ্যান্থনি ফুসি।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন একটি কমিটির শুনানিতে ফুসি বলেন, ‘লকডাউন শিথিল করলে ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। আর তখন তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।’
তিনি হুশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অর্থনীতি সচলের চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে এবং আরো ভোগান্তি ও মৃত্যু ঘটতে পারে।’
ফুসি বলেন, ‘টিকা আসতে দেরি হচ্ছে তা সত্য। কিন্তু টিকা আসার আগ পর্যন্ত অন্তত শিক্ষার্থীদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া যাবে না।’
ড. ফুসির এমন হুশিয়ারির পরদিন বুুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তিনি সমীকরণের উভয়পাশেই খেলতে চাচ্ছেন।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তার কথায় আশ্চর্য হচ্ছি। তার কথা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে স্কুল শিশুদের ক্ষেত্রে তো নয়ই। কারণ রোগটি থাবা বসাচ্ছে বয়স্কদের শরীরে। সেক্ষেত্রে বয়স্ক শিক্ষক ও অধ্যাপকদের ক্লাসে ফেরার জন্য আরও কিছুদিন সময় নিতে পারেন।’